আজ ৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মিঠামইনে নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে গোপন বৈঠক প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার তমিজা খাতুন সরকারী বালিকা উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে গোপন তৎপরতা শুরু করার অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণের দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টার বরাবরে   এলাকার লোকজন  অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে তমিজা খাতুন সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে  বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আবেদা আক্তার তার স্বামী আব্দুল হক নুরুর ও ভাসুর সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের হাত ধরে তার শাশুরির নামের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তারের স্বামী    আব্দুল হক নুরু হাওরের সম্রাট হিসেবে পরিচিত। সে এই বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ দখল করে রাখেন ২৫ বছর। ক্ষমতার দাপটে বিধি- বিধান উপেক্ষা করে তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়টিকে আওয়ামী লীগের আস্তানা হিসেবে গড়ে তোলেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকার জনসাধারনের নিজস্ব অর্থায়নে মিঠামইন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে    নাম পরিবর্তন করে তমিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে  নামকরণ করা হয়। আবেদ আক্তার জাহান প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নিয়ে তিনি মোটেও দায়িত্ব পালন করেননি। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ঢাকাতে বসবাস করে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। আওয়ামী লীগ সরকার পালানোর পর দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এখন ও প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি  প্রায় সময় নিষিদ্ধ লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের ভিতরেই গোপন বৈঠক করছেন   এমন অভিযোগ এনেছেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা।

৭১ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে  বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে এখন পর্যন্ত অনিয়ম ভাবে বিদ্যালয়টি নিজের ইচ্ছামতই পরিচালনা করছেন এবং নিষিদ্ধ দলের গোপন তৎপরতা  চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাঁর স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ  বলেন, প্রধান শিক্ষিকার লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে অভিভাবক ও স্থানীয়বাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে   তাকে অপসারণ ও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত ১৭ নভেম্বর ৭১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র শিক্ষা উপদেষ্টার বরাবরে দায়ের করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগের কোন কিছুই সত্য না, ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category